সিলেট-৬ আসন (গোলাপগঞ্জ -বিয়ানীবাজার) -কে ঘিরে রাজনীতির মাঠ এখন উত্তপ্ত। ভোটের ঢামাডোল শুরুর আগেই, নির্বাচনী হাওয়া টের পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ইউনিয়ন, গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায়। বর্তমানে সক্রিয় সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন গণ সংযোগ। বিশেষ করে এ আসনে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এর মধ্যে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন। নিজ সংসদীয় এলাকার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন, প্রতীয়মান করছেন নিজেকে এ আসনে ধানের শীষের অন্যতম দাবিদার হিসেবে।
সৈয়দা আদিবা হোসেনের আরেক পরিচয়,তিনি সিলেট-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা মরহুম ড. সৈয়দ মকবুল হোসেনের কন্যা। পিতার ছিল আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য আর ব্যক্তিগত মেধা-মননে জনগণের মন জয় করতে শুরু করেছেন এই উদীয়মান নেত্রী।
সাম্প্রতিক সময়জুড়ে গোলাপগঞ্জ- বিয়ানীবাজারের গ্রামেগঞ্জে, হাটে বাজারে, পাড়া-মহল্লা, স্কুল-কলেজে ও মাদ্রাসায় তাকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ, তরুণ ভোটার এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে তিনি গড়ে তুলছেন এক শক্তিশালী জনসম্পৃক্ততা। তার সফরসূচিতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নজর কাড়ছে সবার।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তিনি তুলে ধরছেন বিএনপির ৩১ দফার কথা, যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মেরামতের যাবতীয় উপাদান। পাশাপাশি নিজ এলাকার উন্নয়ন-চিত্র, ধর্মীয় সম্প্রীতি,রাজনৈতিক সৌহার্দ্য,নিজ এলাকা নিয়ে উন্নত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং যুব সমাজের উন্নয়নে তার নিজস্ব ভাবনাও শোনাচ্ছেন। যা মানুষ সাদরে গ্রহণ করছে।
একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমার বাবা যেভাবে সারা জীবন এই এলাকার মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন, আমিও ঠিক সেই আদর্শকে ধারণ করে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। উন্নয়ন, ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই আমার অঙ্গীকার।
আদিবা আরও বলেন, তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি চান না, চান রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্প্রীতি - যেখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সবার সমান অধিকার হবে সুপ্রতিষ্ঠিত। আদিবা তার বক্তব্যে বিএনপির ৩১ দফার কথা উল্লেখ করে বলেন তার বিশ্বাস আগামীতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে এর বাস্তবায়ন হলে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একজন তরুণ, শিক্ষিত ও প্রগতিশীল নারী হিসেবে আদিবা হোসেনের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এক নতুন বার্তা দিচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, বাবার জনপ্রিয়তার পাশাপাশি নিজস্ব গতিশীলতায়ও আদিবা গড়ে তুলছেন শক্ত অবস্থান।
গোলাপগঞ্জের প্রবীণ মুরব্বি আসাদ উদ্দিন বলেন, সৈয়দা আদিবা যেভাবে মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন, তাতে আমরা খুবই আশাবাদী। তিনি সৎ, শিক্ষিত ও পরিশ্রমী। এমন নেতৃত্ব পেলে আমাদের এলাকার অনেক উপকার হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা কয়েছ উদ্দিন বলেন, সাধারণ মানুষ আজও ড. মকবুল হোসেনের উন্নয়নের কথা মনে রেখেছে। তার কন্যা আদিবাও সেই দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করছেন। আমরা তাকে দেখছি একজন নতুন আশার প্রতীক ও তার বাবার ছায়া হিসেবে।
রাবেয়া বেগম নামের এক নারীর সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন, একজন নারী হিসেবে আদিবা আপা আমাদের সাহস জোগাচ্ছেন। আমরা চাই, তিনি এগিয়ে যান এবং নারীদের পক্ষে কথা বলুন। আমরা দোয়া করি তার মতো নারী নেতৃত্বে আসলে বিশেষ করে এই জনপদে নারীদের উন্নতি হবে।
এলাকার এক প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মী জানান, আদিবা মানুষের সঙ্গে যেভাবে মিলেমিশে কাজ করছেন, তাতে তার পেছনে মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন নিশ্চিতভাবে তৈরি হচ্ছে। এভাবে সব সময় যদি মানুষের পাশে থাকেন তাহলে খুব শ্রীগই মানুষের মন জয় করে নিবেন। তিনি বলেন, শুধু মাঠে সক্রিয়তা নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব রয়েছেন সৈয়দা আদিবা হোসেন। এতে তরুণদের মধ্যে তাকে ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে।
আগামী নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী কে হবেন, তা এখনো নির্ধারিত না হলেও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে সৈয়দা আদিবার কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যেই সর্বসাধারণের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। দুই উপজেলার রাজনৈতিক বোদ্ধাদের অভিমত, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিবচিত হবেন সৈয়দা আদিবা।
প্রধান সম্পাদকঃ আবুবকর সিদ্দিক সুমন। নির্বাহী সম্পাদকঃ রুবেল হাসনাইন। বার্তা সম্পাদকঃ রুমি বরুয়া।
গুলশান, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইলঃ admin@sylhet21.com,sylhet21.com@gmail.com মোবাইলঃ +1586 665 4225
© 2024 Sylhet21 All Rights Reserved. | Developed Success Life IT