১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেল ২৫ তরুণ-তরুণী

- আপডেট সময়ঃ ১২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৭১ বার পড়া হয়েছে।

মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে স্বপ্ন পূরণ হলো ঝিনাইদহের ২৫ তরুণ-তরুণীর। ঘুষ-তদবির ছাড়াই পুলিশে চাকরি হয়েছে তাদের। মূল্যায়ন হয়েছে মেধা ও যোগ্যতার। পূরণ হয়েছে হতদরিদ্র বাবা-মায়ের স্বপ্ন।
খুশিতে কেঁদে ফেললেন অনেকে। আর দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহ্বান জানালেন পুলিশ সুপার। তুষার আহমেদ। বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে।
স্বপ্ন ছিল পুলিশে চাকরি করার। কিন্তু স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার বিস্তর ব্যবধানে আশাহত হয়েছিলেন শৈশবে পিতৃহারা তুষার। হঠাৎ একদিন জানতে পারলেন, পুলিশে চাকরি পেতে কোনো টাকা-পয়সা লাগে না। পরে আবেদন ফরম পূরণ করে লাইনে দাঁড়ালেন। সব বাছাইয়ে মেধা ও যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হলেন।
রবিবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ফলাফল ঘোষণার পর আনন্দে কেঁদে ফেললেন এ তরুণ।
তুষার আহমেদ বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন আজ। টাকা ও তদবির ছাড়া চাকরি হয় এটি আজই দেখলাম। বাবা বেঁচে থাকলে আজ খুব খুশি হতেন।
এ তরুণ আরো বলেন, আমি বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে পেরেছি। দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাব।’
পুলিশ লাইন্সে ফল ঘোষণার পর পুলিশ কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ এসব প্রার্থীরা এভাবেই নিজেদের অনুভূতির কথা জানান।
চূড়ান্ত এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ।
তুষার আহমেদের মতোই মোট ২৫ জন শুধু মেধা ও যোগ্যতায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, এবার জেলায় পুলিশের ২৫ জন কনস্টেবল নিয়োগে গত ১০, ১১ ও ১২ জুলাই ১ হাজার ৮৮০ জন চাকরি প্রার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশ নেন। এতে যাচাই-বাছাইয়ের পর শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করেন ২৭৯ জন চাকরি প্রার্থী।
গত ২৩ আগস্ট তাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৩৪ জন। আর রবিবার (৩১ আগস্ট) মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ২৫ জন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ মহাপরিদর্শক মহোদয় শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য কড়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা পেশাদারিত্ব, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।’