০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

২০ শিশুকে বাঁচিয়ে মৃত্যুর কোলে শিক্ষিকা মেহেরীন

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময়ঃ ০১:০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে।

প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীদের হাত ধরে সস্নেহে দরজায় অপেক্ষারত বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছে দিতেন উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী (৪৬)। বিমান বিধ্বস্তের সময় তিনি দূরে ছিলেন। আগুন দেখে ছুটে এসে শিক্ষার্থীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ১৫-২০ জন শিক্ষার্থীকে একাই বের করে নিয়ে আসেন এই শিক্ষিকা। এতে তাঁর শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন জীবনদায়ী এই শিক্ষিকা। গতকাল সোমবার রাতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই শিক্ষিকার শরীরের ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের পর নিজেই ঠিকঠাক বের হতে পারেননি মেহেরীন চৌধুরী। ঘটনাস্থলে তাঁর শরীর মারাত্মক দগ্ধ হয়। পরে তাঁকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার মুহূর্তে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুম থেকে বের করে আনেন মেহেরীন চৌধুরী। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

উদ্ধার হওয়া মাইলস্টোনের এক অভিভাবক বলেন, সেনাবাহিনী বলেছে এই শিক্ষিকার কারণে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী বেঁচে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

২০ শিশুকে বাঁচিয়ে মৃত্যুর কোলে শিক্ষিকা মেহেরীন

আপডেট সময়ঃ ০১:০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীদের হাত ধরে সস্নেহে দরজায় অপেক্ষারত বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছে দিতেন উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী (৪৬)। বিমান বিধ্বস্তের সময় তিনি দূরে ছিলেন। আগুন দেখে ছুটে এসে শিক্ষার্থীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। ১৫-২০ জন শিক্ষার্থীকে একাই বের করে নিয়ে আসেন এই শিক্ষিকা। এতে তাঁর শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন জীবনদায়ী এই শিক্ষিকা। গতকাল সোমবার রাতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই শিক্ষিকার শরীরের ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের পর নিজেই ঠিকঠাক বের হতে পারেননি মেহেরীন চৌধুরী। ঘটনাস্থলে তাঁর শরীর মারাত্মক দগ্ধ হয়। পরে তাঁকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার মুহূর্তে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুম থেকে বের করে আনেন মেহেরীন চৌধুরী। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

উদ্ধার হওয়া মাইলস্টোনের এক অভিভাবক বলেন, সেনাবাহিনী বলেছে এই শিক্ষিকার কারণে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী বেঁচে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন