০৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুবিনের কফিন ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী ‘গারিমা’।

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৩:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে।

শুধু আসাম নয় পুরো ভারতই যেন শোকে আচ্ছন্ন। সিঙ্গাপুরের সাগরে স্কুবা ড্রাইভিং করতে গিয়ে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গার্গ। তার মৃত্যুতে কাঁদছে গোটা আসাম।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাই সবার প্রথম নিশ্চিত করেছিলেন জুবিনের মৃত্যু সংবাদ। মুখ্যমন্ত্রী শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেছিলেন, সিঙ্গাপুরে জুবিনের ময়নাতদন্ত করা হবে, তারপর তার মরদেহ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।অবশেষে জুবিন গার্গের মরদেহ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে ভারতের গুয়াহাটিতে পৌঁছায়। প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো দেখতে বিমানবন্দর ও শহরের রাস্তায় নামে তার ভক্ত-অনুরাগীসহ লাখো মানুষের ঢল। মরদেহ পৌঁছানোর পর সেখানে উপস্থিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জুবিনের স্ত্রী গারিমা সাইকিয়া গার্গ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার মধ্যরাতে রাজধানী দিল্লিতে এসে পৌঁছায় জুবিন গার্গের কফিনবন্দি মরদেহ। মরদেহ গ্রহণ করেন স্বয়ং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

এরপর রোববার ভোর ৬টা নাগাদ গায়কের মরদেহ গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামার পর অনুরাগীরা স্তম্ভিত হয়ে দেখলেন সেই দৃশ্য। সে সময় স্বামীর কফিন আঁকড়ে ধরে কেঁদে ওঠেন তার স্ত্রী, যেন থামছিলোই না সেই কান্না।তবে শুধু গায়কের স্ত্রী গারিমা নয়, চোখে জল ছিলো আশেপাশের প্রায় সকলেরই। এদিন ভোর থেকেই জুবিন গার্গের মরদেহ বিমানবন্দর থেকে বের হতেই গুয়াহাটির রাস্তায় জনস্রোত। ছোট-বড় সংগীতশিল্পীরাও তাকে শ্রদ্ধা জানান।বিমানবন্দর থেকে জুবিনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার কাহিলিপাড়ার বাসভবনে। সেখানে ছেলেকে শেষবারের মতো দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবা। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সরুসাজাইয়ের স্টেডিয়ামে। এখানে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর পর শ্মশানঘাটে সম্পন্ন হবে গায়কের শেষকৃত্য।

প্রসঙ্গত, জুবিন গার্গ নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন, যেখানে তার পারফর্ম করার কথা ছিল। উৎসবে পারফরম্যান্সের একদিন আগে শুক্রবার দুপুরে সাগরে স্কুবা ডাইভিং করার সময় শ্বাসকষ্টের জেরে ৫২ বছর বয়সী এই গায়কের মৃত্যু হয়।এদিকে জুবিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ভারতের আসাম রাজ্যজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন