শ্রীমঙ্গল শেভরনের গ্যাস পাইপলাইনে আগুন, দগ্ধ ২

- আপডেট সময়ঃ ১২:৩৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৪৯ বার পড়া হয়েছে।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বহুজাতিক কম্পানি শেভরন বাংলাদেশের কনডেনসেট পাইপলাইনে ভয়াবহ আগুনে ২ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের জৈতাছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে দগ্ধরা হলেন- রেদোয়ান আহমদ (২৪) এবং তার বাবা বশির মিয়া (৫০)। তারা দুজন ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
শেভরন বাংলাদেশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে দুর্বৃত্তরা পাইপলাইনে অবৈধভাবে ট্যাপিং করে। এতে কনডেনসেট তেল ছড়িয়ে পড়লে রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে এ ঘটনায় কম্পানির গ্যাস উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়েনি।
শেভরনের মিডিয়া ও কমিউনিকেশনস ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান জানান, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মৌমিতা বৈদ্য জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুনে দগ্ধ দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রেদোয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বিকাল থেকে পাইপলাইনে ছিদ্র হয়ে কনডেনসেট তেল ছড়িয়ে পড়ছিল। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়।
আগুনের ভয়াবহ শিখা আকাশে উঠে যায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, শতাধিক মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান। ফায়ার সার্ভিসের শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার টিম প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আলাউদ্দিন বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টায় ইউএনও মহোদয়ের নিকট থেকে একটি সংবাদ পাই, গ্যাস ফিল্ডে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক শ্রীমঙ্গল স্টেশনের সদস্যরা বের হয়ে যান।
আমি মৌলভীবাজার দুটি ইউনিটকে সংবাদ দেই এবং নিজেও ঘটনাস্থলে রওনা করি। এখানে চারটি ইউনিট অংশ নেয়। যেহেতু প্রধান লাইন ছিল, তাই অতিরিক্ত তেলের চাপের কারণে প্রথমে আমাদের একটু বেগ পেতে হয়েছে। পরে আমি ফোম নিয়ে আসি এবং ফোম ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে অগ্নিনির্বাপণ করি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসলাম উদ্দিন, থানার ওসি আমিনুল ইসলামসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো গেছে। আগুনে পোড়া বাবা-ছেলেকে সুচিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’