০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

স্বৈরতন্ত্রের স্থায়ী বিলোপে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে: সুলাইমান আহমদ শাহী

সিলেট ব্যুরো
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৯০ বার পড়া হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক নিয়োগ, গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও তার ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির প্রবর্তন, গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ ও বিশেষ ট্রাইবুনালে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার করতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বিয়ানীবাজার মোকাম মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার উপজেলা সহ-সভাপতি ঈসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা সুলাইমান আহমদ শাহী’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক, উপজেলা সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা সুলাইমান আহমদ শাহী।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যারা পিআর পদ্ধতীকে অস্বীকার করে, তারা মূলত বলতে চায়, আমরা জনগণের প্রকৃত রায়কে মানি না, শুধু মাত্র সুবিধামতো সংখ্যাগরিষ্ঠতাই চাই। রাজনীতি হলো মানুষের রায় ও মতামতকে মূল্যায়ন করার শিল্প। জনগণের ভোট-ভিত্তিক পিআর পদ্ধতি গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও স্বচ্ছ ও ন্যায্য করে। যারা এটাকে অস্বীকার করে, তারা মূলত জনগণের রায়কেই তুচ্ছ করছে। তিনি বলেন, বর্তমান আসনভিত্তিক ব্যবস্থায় অনেক দল লাখো ভোট পেয়েও সংসদে শূন্য আসনে থাকে, আবার অনেকে তুলনামূলক কম ভোট পেয়ে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায়। পিআর ব্যবস্থা এ বৈষম্য দূর করে জনগণের প্রকৃত মতামতকে সংসদে প্রতিফলিত করে। সংখ্যাগরিষ্ঠের নামে সংখ্যালঘু মতকে উপেক্ষা করাই বর্তমান ব্যবস্থার বড় সমস্যা। পিআর চালু হলে প্রত্যেক রাজনৈতিক শক্তির প্রাপ্য জায়গা সংসদে থাকবে। এটি সহনশীলতা, সমঝোতা ও জবাবদিহিতার পথ খুলে দেয়। রাজনীতি জনগণের অধিকার ও ন্যায়ের লড়াই। যদি বলা হয় “PR খায় না মাথায় দেয়”, তবে তা জনগণের ভোটাধিকারকে বিদ্রূপ করা ছাড়া আর কিছু নয়। জনতার রায়ই রাজনীতির প্রাণ, আর PR সেই রায়কে যথার্থভাবে প্রতিফলিত করে। তিনি আরও বলেন, যারা পিআরকে অস্বীকার করে, তারা মূলত বলতে চায়—“আমরা জনগণের প্রকৃত রায়কে মানি না, শুধু সুবিধামতো সংখ্যাগরিষ্ঠতাই চাই।” তাহলে প্রশ্ন ওঠে, এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার কোথায়? তাইতো বলতে হয় যারা বলে পিআর খায় না মাথায় দেয়! তাদের রাজনীতি করারই অধিকার নেই। বিশ্বের প্রায় ৯১টি দেশে কোনও না কোন প্রকারের পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করে সুফল পাচ্ছে। এর মধ্যে শতভাগ পিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্বাচন আয়োজন হয়ে থাকে- বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন ইত্যাদি দেশ সমূহে। তাই এই পদ্ধতির প্রবর্তন করে আগামী সংসদ নির্বাচন হলে আমরা আশাবাদী আমরা একটি ভালো দেশ উপহার পাবো।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জনাব খালেদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনায়েত উল্লাহ, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক জনাব আব্দুশ শুক্কুর, দফতর সম্পাদক কবির আহমদ, সাবেক ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার খলিলুর রহমান, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল হালিম, সদস্য মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ছাত্র নেতা মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন