০৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

সিলেটে বিএনপির শতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকায়, বৈঠক আজ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ১২:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে।

সিলেট বিভাগের ১৯ সংসদীয় আসনেই বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক। এমনকি কোনো কোনো আসনে ডজন খানেক! এই প্রেক্ষাপটে সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তলব করেছে কেন্দ্র। ফলে দু-একদিন আগে থেকেই রাজধানীতে অবস্থান করছেন শতাধিক নেতা। শনিবারও অনেকেই ঢাকায় পৌঁছান ‘আমলনামা’ হাতে নিয়ে। আজ তাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকাল ৩টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে এই বৈঠকে মনোনয়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে কি না, তা সিলেটের নেতাদের কেউই ওয়াকিবহাল নন।

দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এবার বরাবরের মতো প্রার্থীর সাক্ষাৎকার বা তদবির নয়, নিজস্ব আমলনামার তথ্য ও ডিজিটাল পর্যক্ষেণে প্রাপ্ত তথ্যই মনোনয়নে প্রাধান্য পাবে। সূত্রমতে, বিএনপির এই ডেটাবেজে মূল ৫টি যোগ্যতা এবং ৫টি অযোগ্যতার অপশন রাখা হয়েছে। ওই ঘরগুলো পূরণ করলে ডেটাবেজসংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় র‌্যাংকিং দেবে। তা সরবরাহ করা হবে মনোনয়ন নির্ধারণ কমিটিকে। কিছু বিশেষ কারণ ছাড়া এই র‌্যাংকিংকেই প্রধান্য দেওয়া হবে।

সূত্র আরও জানায়, প্রত্যেক মনোনয়নপ্রত্যাশীর অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি, জনসম্পৃক্ততা, সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা, পারিবারিক, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও ত্যাগ বিবেচনা করা হচ্ছে।

ডিজিটাল ডেটাবেজ ও অনলাইন স্ক্রুটিনিতে এই ৫ যোগ্যতার পাশাপাশি অযোগ্যতা নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে-কখনো দলের সঙ্গে বিদ্রোহ ছিল কি না, রাজনৈতিক মামলা ছাড়া ফৌজদারি অপরাধের তথ্য আছে কি না, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সুবিধা নিয়েছেন কি না, ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর স্থানীয় রাজনীতিতে অপরাধে সম্পৃক্ততা আছে কি না, নির্বাচনি এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না।

এই ১০ শ্রেণির প্রশ্নের আরও ৫ থেকে ৭টি উপশ্রেণি রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য একত্র করে প্রত্যেক প্রার্থীর প্রোফাইল বিশ্লেষণ চলছে।

জানা যায়, বৈঠকে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের প্রত্যেক প্রার্থীর সাংগঠনিক অবস্থা, ভোটার সংযোগ, জনপ্রিয়তা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। বিএনপি এবার প্রার্থী বাছাইয়ে তথ্যভিত্তিক যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। মাঠে সক্রিয় নেতাদের পাশাপাশি প্রবাসী, যুবনেতা ও সাবেক জনপ্রতিনিধিরাও যাচাইয়ের আওতায় আছেন।

বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বরাত দিয়ে স্থানীয় দায়িত্বশীলরা জানান, প্রতিটি আসনে কেবল একজন প্রার্থীকেই চূড়ান্ত মনোনীত করা হবে। তালিকায় রাখা হবে আরও দুজনের নাম। মনোনীত প্রার্থীর যে কোনো সমস্যায় পরবর্তী দুটি নাম থেকে একজনকে সুযোগ দেওয়া হবে।

মনোনয়নপ্রত্যাশী হওয়ার পরও বঞ্চিতদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতিতে সক্রিয় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

সিলেট বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক মেয়র ও হবিগঞ্জের মনোনয়নপ্রত্যাশী জিকে গউছ বলেন, বিকাল ৩টায় বৈঠক শুরু হবে। আলোচনা, যাচাই-বাছাই সুনামগঞ্জ দিয়ে শুরু হয়ে শেষ হবে মৌলভীবাজারে গিয়ে। ঢাকায় সিলেটের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা কেমন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকায় সিলেটের অসংখ্য নেতা। যেদিকে দেখছি সেদিকেই এমপি প্রার্থী।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিফতাহ সিদ্দিকীকে শনিবার সন্ধ্যায় ফোন করা হলে তিনি বলেন, ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের কারণে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে তিনিসহ ৯ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী আটকা পড়েছেন। রাতে বিমানের ব্যবস্থা না হলে সড়কপথেই রওয়ানা দেবেন।

বৈঠকে বিশ্বনাথের মতো অন্য কোথাও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাতে সংঘাত-সংঘর্ষ না হয়, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে দলের হাইকমান্ড থেকে বলে জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন