১৭ বছর ধরে নির্মাণের জন্য ফাইলবন্দি সেতু ২০ হাজার মানুষের আক্ষেপ ,বাস্তবে নেই কোনো পদক্ষেপ
- আপডেট সময়ঃ ১০:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
- / ৩৬ বার পড়া হয়েছে।

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বরুরদল নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবিকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ফাইলবন্দি রাখা হয়েছে। নির্বাচনের সময় স্থানীয় নেতাদের প্রতিশ্রুতি ও সরকারি দপ্তরের আশ্বাসের পরও নদীর দুই পারে বসবাসরত প্রায় ২০ হাজার মানুষের স্বপ্নের সেতুটি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের বিবিরাই, বিলবাড়ি, কালাইন এবং পার্শ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুপস্থিতির কারণে দুর্ভোগে আছেন।
স্থানীয়রা জানান, বরুরদল নদীর ওপর একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই তাদের দৈনন্দিন যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো পার হন। বর্ষা মৌসুমে নদী ফুলে উঠলে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। উন্নত যোগাযোগ না থাকায় উপজেলার এই অংশের কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য বাজারে পৌঁছাতে পারছেন না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও পণ্য পরিবহন ও সরবরাহে বাধার মুখে পড়ছেন, যা তাদের অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে। সেতুর অভাবে সড়ক যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি, ফলে এই এলাকা উন্নয়নবঞ্চিত রয়েছে।
বিবিরাই গ্রামের দুবাই প্রবাসী আলিম উদ্দিন বলেন,“এখানে একটি সেতু নির্মাণ হলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে এবং ভাগ্য বদলে যাবে।”
স্থানীয়রা বলেন“বিগত বছরগুলোতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক এমপি সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু ও শফর উদ্দিন খসরুর কাছে স্মারক দেওয়া হয়েছে। সবাই আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু কাজ হয়নি।”
তিলপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর হরমান বলেন,“বরুরদল নদীর ওপর সেতু হলে যোগাযোগসহ এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে। মুমূর্ষু রোগীদের উপজেলা সদরে নেওয়ার ঝুঁকিও কমবে।”
উপজেলা প্রকৌশলী দীপক কুমার দাস জানান,“বরুরদল নদীতে প্রায় ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ হলে দুই উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। একশ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে শিগগিরই।”



















