সিলেট-৫ আসনে সিপিবির প্রার্থী হিসেবে কমরেড মো. আনিসুর রহমানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
- আপডেট সময়ঃ ০৯:০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
- / ৮১ বার পড়া হয়েছে।
শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার—কাস্তে মার্কায় সমর্থন প্রার্থনা
সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ–কানাইঘাট) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাম গণতান্ত্রিক জোট সমর্থিত ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা, বাম রাজনীতির পরিচিত মুখ এবং তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা কমরেড মো. আনিসুর রহমান। শোষণ, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে তিনি কাস্তে মার্কায় জনসমর্থন প্রত্যাশা করছেন।
কমরেড মো:আনিসুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু ছাত্র আন্দোলনের অগ্নিঝরা দিনগুলো থেকে তিনি সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মদন মোহন কলেজ শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন দীর্ঘদিন। ৯০-এর দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অন্যতম ছাত্রনেতা হিসেবে তাঁর ভূমিকা এখনো স্মরণীয়। রাজনৈতিক আদর্শে নিষ্ঠা ও সংগ্রামী অবস্থানের জন্য তিনি সিপিবি সিলেট জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সিপিবি বিয়ানীবাজার উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা জনজোয়ার সৃষ্টি করেছেন কমরেড আনিসুর রহমান প্রার্থীতা ঘোষণার পর সিপিবি, বাম সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। তারা মনে করেন, দীর্ঘদিন তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কাজ করা একজন পরিচ্ছন্ন ও সংগ্রামী রাজনীতিক প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় বাম রাজনীতির নতুন জাগরণ সৃষ্টি হবে।এছাড়া তিনি সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি সিলেটস্থ জকিগঞ্জ ছাত্র পরিষদের সাবেক প্রচার সম্পাদক, সেন্ট্রাল মেডিকেয়ার সার্ভিসেস (সিএমএস) গ্রুপের পরিচালক এবং বিয়ানীবাজার সেবা ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি বিয়ানীবাজার ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি হিসেবে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
জকিগঞ্জের ভূমিপুত্র—নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে জকিগঞ্জের মাটি ও মানুষের সাথে কমরেড আনিসুর রহমানের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। তিনি নিজের গ্রাম, এলাকার মানুষের উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায্য দাবির পক্ষে সবসময়ই সোচ্চার। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার ওপর তাঁর বিশ্বাস রাজনৈতিক দর্শনেও প্রতিফলিত হয়েছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্য—‘মানুষের রাজনীতি’ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রার্থীতা ঘোষণা উপলক্ষে গণমাধ্যমে গনমাধ্যমে সাক্ষাতকালে তিনি বলেন,
“আমার রাজনীতি ব্যক্তিস্বার্থের জন্য নয়, মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য। একটি শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন, মানবিক সমাজ গড়তে কাস্তে মার্কায় জকিগঞ্জ–কানাইঘাটবাসীর আস্থা ও সমর্থন চাই। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনই আমার রাজনীতির লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন,“বঞ্চিত, শ্রমজীবী, কৃষক, দিনমজুর, প্রবাসী পরিবার—সব মানুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করতে বাম গণতান্ত্রিক রাজনীতি অত্যন্ত জরুরি। দুনিয়ার মজদুর এক হও—এটাই আমাদের সংগ্রামের মূল স্লোগান।”জকিগঞ্জের বাম নেতারা ও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া ছিল ব্যপক আলোচনা প্রার্থীতা ঘোষণার পর জকিগঞ্জ ও কানাইঘাটজুড়ে বাম নেতাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই এটিকে এলাকায় বাম রাজনীতির নতুন উত্থান হিসেবে দেখছেন।
জকিগঞ্জ বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা কমরেড হাবিবুল ইসলাম বলেন—
“কমরেড আনিসুর রহমান মাঠে নামায় কর্মীরা নতুন উদ্দীপনা পেয়েছে। তিনি তৃণমূলের নেতা—কথা রাখেন, মানুষের পাশে থাকেন। এই আসনে বাম রাজনীতির শক্তিশালী উপস্থিতি এবার দৃশ্যমান হবে।”
কানাইঘাটের শ্রমিক নেতা কমরেড দেলোয়ার আহমদ বলেন—
“শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিয়ে যিনি আজীবন লড়েছেন, তাকে সংসদে দরকার। কাস্তে মার্কায় আমাদের সমর্থন থাকবে।”
এলাকার সাধারণ মানুষও তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
জকিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল মালিক বলেন—
“দলমতের বাইরে গিয়েও বলি, এলাকায় সৎ ও নির্লোভ মানুষ খুব কম আছে। আনিসুর রহমান তাদের একজন। উনি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন হবে।”
একজন শিক্ষক, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বলেন—
“বাম রাজনীতির আদর্শিক ভূমিকা এখন বেশি প্রয়োজন। শিক্ষাখাত, স্বাস্থ্য ও সামাজিক বৈষম্য দূর করতে তাঁর মতো অভিজ্ঞ মানুষের দরকার আছে।”
কানাইঘাটের এক তরুণ ভোটার তুহিন আহমদ বলেন—
“দূষণমুক্ত রাজনীতি চাই। নতুন চিন্তা, সৎ নেতৃত্ব চাই। আমরা তরুণরা পরিবর্তনের পক্ষে—সেই পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠতে পারেন আনিসুর ভাই।”
প্রার্থীতা ঘোষণার পরবর্তী সময়টিতে জকিগঞ্জ–কানাইঘাটজুড়ে ভোটারদের আগ্রহ আরও বাড়ছে বলে জানান স্থানীয় বিশ্লেষকরা।




















