বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার

- আপডেট সময়ঃ ০১:২২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৪৪ বার পড়া হয়েছে।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দুই ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারের ইনিংস এগুলো। প্রথমটি কিউই অধিনায়ক ও ওপেনার টম ল্যাথামের, পরেরটি ডেভন কনওয়ের। এই টেস্টে দুজনে মিলে যা করলেন, টেস্ট ইতিহাসেই এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবার দুই ওপেনার এক টেস্টে করলেন জোড়া সেঞ্চুরি।
তাতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৪৬২ রান লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে আজ ৬ উইকেটে ৩৮১ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ৪২০ রানে।
নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৩০৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে। ৪৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ১৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৩ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনার ব্রেন্ডন কিং অপরাজিত ৩৭, জন ক্যাম্পবেল ২ রানে।
আজ চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ১৬ ওভারে সাবলীল ব্যাটিং করলেও আগামীকাল পঞ্চম দিনে কাজটা কঠিন হওয়ার কথা ক্যারিবিয়ানদের জন্য।
চতুর্থ দিনেই পিচে অসমান বাউন্স দেখা গেছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টের মতো প্রায় অসম্ভব কিছু করে ফেললে নিউজিল্যান্ডকে দেরিতে ইনিংস ঘোষণা করা নিয়ে আফসোসে পুড়তে হতে পারে। প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ২ দিনে ১৬৩.৩ ওভার ব্যাটিং করে টেস্ট ড্র করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন জাস্টিন গ্রিভস। চলতি টেস্টেও অবিশ্বাস্য কিছু করতে হলে গ্রিভসের মতোই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাউকে বড় ইনিংস খেলতে হবে। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এই কাজটা করেছিলেন কাভেম হজ। ১২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। তিনি অপরাজিত থাকলেও আজ সকালে একে একে ফিরেছেন অ্যান্ডারসন ফিলিপ, শাই হোপ, জেইডেন সিলস, কেমার রোচ। সে কারণেই আজ সকালে ৩৯ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তারা।
১৫৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামা নিউজিল্যান্ড ওপেনিং জুটিতেই তোলে ১৯১ রান। ১০০ রান করে হজের বলে ফেরেন কনওয়ে। টম ল্যাথাম ফেরেন দলীয় ২৩৪ রানে। তাকেও ফেরান হজ। এরপর কেইন উইলিয়ামসন ও রাচীন রবীন্দ্র ৩৭ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন। উইলিয়ামসন ৩৭ বলে ৪০, রবীন্দ্র ২৩ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৫৭৫/৮ ও ৩০৬/২ (কনওয়ে ১০১, ল্যাথাম ১০০; হজ ২/১০০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪২০ ও ৪৩/০ (কিং ৩৭*, ক্যাম্পবেল ২*; ডাফি ০/১৮)
চতুর্থ দিন শেষে


















