০৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

জুলাই হত্যাকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু

ডেস্ক নিউজ:
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে।

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানে রাজধানীর চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে এটিই প্রথম অভিযোগ দাখিল। এর মাধ্যমে জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আজ রবিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এই অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে আজকে প্রথম জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলো। ফরমাল চার্জ আজ দাখিল করা হয়। ফরমাল চার্জের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিচারের জন্য আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ফরমাল চার্জ আমলে নেওয়ার মাধ্যমে একটি বিচারপ্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সেটি আজকে বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেল।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার দেওয়া এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনটি ৯০ পৃষ্ঠার। তদন্ত করতে তদন্ত সংস্থার সময় লেগেছে ৬ মাস ১৩ দিন। তদন্ত প্রতিবেদনে ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ১৯টি ভিডিও, পত্রিকার ১১ টি রিপোর্ট, দুটি অডিও, বই ও রিপোর্ট ১১ টি এবং ছয়টি ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে আসামি করা হয় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনকে। গত ২১ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে আজ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। আট আসামির মধ্যে শেষের চারজন এখন কারাগারে, অন্যরা পলাতক। কারাগারে থাকা চার আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুলাই হত্যাকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু

আপডেট সময়ঃ ০৫:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানে রাজধানীর চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে এটিই প্রথম অভিযোগ দাখিল। এর মাধ্যমে জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আজ রবিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এই অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে আজকে প্রথম জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলো। ফরমাল চার্জ আজ দাখিল করা হয়। ফরমাল চার্জের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিচারের জন্য আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ফরমাল চার্জ আমলে নেওয়ার মাধ্যমে একটি বিচারপ্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সেটি আজকে বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেল।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার দেওয়া এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনটি ৯০ পৃষ্ঠার। তদন্ত করতে তদন্ত সংস্থার সময় লেগেছে ৬ মাস ১৩ দিন। তদন্ত প্রতিবেদনে ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ১৯টি ভিডিও, পত্রিকার ১১ টি রিপোর্ট, দুটি অডিও, বই ও রিপোর্ট ১১ টি এবং ছয়টি ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে আসামি করা হয় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনকে। গত ২১ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে আজ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। আট আসামির মধ্যে শেষের চারজন এখন কারাগারে, অন্যরা পলাতক। কারাগারে থাকা চার আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন