১১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড, যে তথ্য দিলো র‌্যাব

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময়ঃ ১২:৩০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে।

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার মূল হোতা শাহ পরানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাব জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়। শাহ পরান ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই এবং ওই নারীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মূলহোতা। ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন শাহ পরান। তার কাছে ধর্ষণের ঘটনায় ছবি ও ভিডিওসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র‌্যাব আরও জানায়, দুই মাস আগে ফজর আলী ও তার ছোট ভাই শাহ পরানের বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গ্রাম্য সালিশে জনসম্মুখে বড় ভাই ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চড় থাপ্পড়ও মারেন।

পরবর্তীতে শাহ পরান তার বড় ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে সুযোগের সন্ধানে থাকে। সালিশের কিছু দিন পর ওই নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে ঋণ নেন।

ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে নারীর বাবা-মা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মেলা দেখতে যান। এই সুযোগে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে রাতে কৌশলে নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন।

এদিকে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নারীর বাড়ির আশপাশে অবস্থান করা শাহ পরান ও আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান এবং অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জন ব্যক্তি দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেই নারীকে শারীরিক নির্যাতন করেন। এ সময় অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনার পর মূলহোতা শাহ পরানসহ আবুল কালাম ও অন্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড, যে তথ্য দিলো র‌্যাব

আপডেট সময়ঃ ১২:৩০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার মূল হোতা শাহ পরানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাব জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়। শাহ পরান ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই এবং ওই নারীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মূলহোতা। ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন শাহ পরান। তার কাছে ধর্ষণের ঘটনায় ছবি ও ভিডিওসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র‌্যাব আরও জানায়, দুই মাস আগে ফজর আলী ও তার ছোট ভাই শাহ পরানের বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গ্রাম্য সালিশে জনসম্মুখে বড় ভাই ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চড় থাপ্পড়ও মারেন।

পরবর্তীতে শাহ পরান তার বড় ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে সুযোগের সন্ধানে থাকে। সালিশের কিছু দিন পর ওই নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে ঋণ নেন।

ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে নারীর বাবা-মা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মেলা দেখতে যান। এই সুযোগে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে রাতে কৌশলে নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন।

এদিকে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নারীর বাড়ির আশপাশে অবস্থান করা শাহ পরান ও আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান এবং অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জন ব্যক্তি দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেই নারীকে শারীরিক নির্যাতন করেন। এ সময় অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনার পর মূলহোতা শাহ পরানসহ আবুল কালাম ও অন্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন