০৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

এমসি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম আহমদ খান

এমসি কলেজ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়ঃ ১০:৫৭:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে।

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন প্রফেসর গোলাম আহমদ খান। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

প্রফেসর গোলাম আহমদ খান ১৯৬৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ পইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৮৪ সালে এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে বিএসসি (উদ্ভিদবিজ্ঞান) অনার্স এবং ১৯৮৮ সালে উদ্ভিদবিজ্ঞানে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী নাঈমুল জান্নাত ক্বোরেশী (ডিএইচএমএস) একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।

প্রফেসর গোলাম আহমদ খান চতুর্দশ বিসিএসের (সাধারণ শিক্ষা) মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে তিনি এমসি কলেজে পদায়ন লাভ করেন। এরপর ২০১৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে ময়মনসিংহ শেরপুর সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। ২০১৮ সালে তিনি পুনরায় সিলেট এমসি কলেজে ফিরে আসেন। ২০২০ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়িত হন এবং বর্তমানে তার পুরনো কর্মস্থল এমসি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে ফিরে এসেছেন।

প্রফেসর গোলাম আহমদ বলেন, আমি এমসি কলেজে পড়ালেখা করেছি, এখানে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি এখন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ক্যাম্পাসের শিক্ষার মান ঠিক রেখে ঐতিহ্যবাহী এই কলেজের সুনাম উজ্জ্বল করতে। এজন্য আমি কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীসহ সকলের সহযোগিতা চাই। সকলের একান্ত প্রচেষ্টায় শতবর্ষী এই কলেজ সাফল্যে সবসময় শীর্ষে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

এমসি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম আহমদ খান

আপডেট সময়ঃ ১০:৫৭:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পেয়েছেন প্রফেসর গোলাম আহমদ খান। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

প্রফেসর গোলাম আহমদ খান ১৯৬৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ পইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৮৪ সালে এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে বিএসসি (উদ্ভিদবিজ্ঞান) অনার্স এবং ১৯৮৮ সালে উদ্ভিদবিজ্ঞানে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী নাঈমুল জান্নাত ক্বোরেশী (ডিএইচএমএস) একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।

প্রফেসর গোলাম আহমদ খান চতুর্দশ বিসিএসের (সাধারণ শিক্ষা) মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে তিনি এমসি কলেজে পদায়ন লাভ করেন। এরপর ২০১৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে ময়মনসিংহ শেরপুর সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন। ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। ২০১৮ সালে তিনি পুনরায় সিলেট এমসি কলেজে ফিরে আসেন। ২০২০ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়িত হন এবং বর্তমানে তার পুরনো কর্মস্থল এমসি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে ফিরে এসেছেন।

প্রফেসর গোলাম আহমদ বলেন, আমি এমসি কলেজে পড়ালেখা করেছি, এখানে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি এখন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো ক্যাম্পাসের শিক্ষার মান ঠিক রেখে ঐতিহ্যবাহী এই কলেজের সুনাম উজ্জ্বল করতে। এজন্য আমি কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীসহ সকলের সহযোগিতা চাই। সকলের একান্ত প্রচেষ্টায় শতবর্ষী এই কলেজ সাফল্যে সবসময় শীর্ষে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন