৪ বছর ধরে আটকে আছে মৌলভীবাজার শহর প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ

- আপডেট সময়ঃ ০৮:২৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
- / ১২ বার পড়া হয়েছে।

মৌলভীবাজারের মনু নদী শহর প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রকল্প কাজ দীর্ঘ ৪ বছরে ধরে আটকে আছে। প্রতিবছর আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ হয় না কিছুই। চলতি বছরও বন্যা আতঙ্কে আছেন শহরবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার জটিলতায় পিছিয়ে গেলেও- আগামি শুষ্ক মৌসুমে বাঁধের কাজ শুরু হবে।
পাহাড়ি খরস্রোতা নদী মনু। প্রতি বছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুর্তেই এ নদী ফুলেফেঁপে রুদ্রমূতি ধারণ করে। এতে মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলায় মনু নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের-আওতায় ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের শাহ বন্দর থেকে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার উভয়তীরে দেখা দেয় সংকট।
এই কাজের ৩৫ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলা প্রশাসন বরাবরে আবেদন জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জেলা প্রশাসনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘ ৪ বছরেও জমি অধিগ্রহণ হয়নি। এদিকে ভূমি মন্ত্রাণালয় ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর জমি অধিগ্রহনের অনুমোদন দিলেও- অতিসম্প্রতি জমি অধিগ্রহণ বিষয়ক ৭-ধারা নোটিশ জারি করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জেলা প্রশাসন জমি অধিগ্রহণের প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে পাঠাবে। তারপর পানি উন্নয়ন বোর্ড পুরো বিষয়টি অথমন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
এতে কাজের ধীরগতির অভিযোগ এলাকাবাসীর। চলতি বর্ষায় বন্যার আশঙ্কা করছেন শহরবাসী। শহরতলির কনকপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা জানিয়েছেন, মনু নদীতে পানি বাড়ছে আর তারা রাত কাটাচ্ছেন আতঙ্কে। কারণ দূর্বল বাঁধের একাধিক স্থান লিকেজ হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।
বাঁধ মেরামত কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউ আই এ সিসির ম্যানেজার আব্দুস সবুর জানান, তারা কাজ নিয়ে বসে আছেন। এরইমধ্যে তাদের ব্লকের আশি শতাংশ কাজ সম্পন্ন। শুধু জমি বুঝিয়ে দিলেই কাজে হাত দিবেন। তবে কাজে ধীরগতির কারণে তাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মো.খালেদ বিন অলীদ জানান, কাজ বিলম্ব হলেও আগামি শুষ্ক মৌসুমে বাঁধের কাজ শুরু হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে মনুনদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯৬ কোটি টাকা।