০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানে বন্যায় শিশুসহ ১১১ জনের মৃত্যু

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময়ঃ ১১:২৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে।

পাকিস্তানে চলমান মৌসুমি বৃষ্টি ও বন্যায় কমপক্ষে ১১১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন শিশু রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, গত ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাব। গত জুনের শেষে আকস্মিক বন্যার সময় একটি নদীর তীরে আশ্রয় নেওয়া ১৩ পর্যটক স্রোতে ভেসে যায়। তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করে বলেছে, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আরও ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এতে বন্যা, ভূমিধস ও ঝড়ো বাতাসে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বন্যায় ইতিমধ্যে ১০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা ও নয়টি সেতুর ক্ষতি হয়েছে। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে ১৪৫টি বাড়ি, আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩১০টি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। দেশটির ২৪ কোটি মানুষ ক্রমাগত চরম বৈরি আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে গিয়েছিল। সে সময় ১ হাজার ৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এখনো অনেক এলাকা সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

পাকিস্তানে বন্যায় শিশুসহ ১১১ জনের মৃত্যু

আপডেট সময়ঃ ১১:২৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানে চলমান মৌসুমি বৃষ্টি ও বন্যায় কমপক্ষে ১১১ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন শিশু রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, গত ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের সর্বাধিক জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাব। গত জুনের শেষে আকস্মিক বন্যার সময় একটি নদীর তীরে আশ্রয় নেওয়া ১৩ পর্যটক স্রোতে ভেসে যায়। তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করে বলেছে, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আরও ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এতে বন্যা, ভূমিধস ও ঝড়ো বাতাসে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বন্যায় ইতিমধ্যে ১০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা ও নয়টি সেতুর ক্ষতি হয়েছে। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে ১৪৫টি বাড়ি, আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩১০টি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পাকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। দেশটির ২৪ কোটি মানুষ ক্রমাগত চরম বৈরি আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে গিয়েছিল। সে সময় ১ হাজার ৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এখনো অনেক এলাকা সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।।

নিউজটি শেয়ার করুন