১২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে নিহত ৩৪, নিখোঁজ ৮

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময়ঃ ১০:২৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে।

ভিয়েতনামের বিখ্যাত হা লং উপসাগরে শনিবার পর্যটকবাহী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আটজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ভিএন এক্সপ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, ইউনেসকো স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হা লং বেতে ৪৮ জন যাত্রী, পাঁচজন ক্রু সদস্যসহ নৌকাটি হঠাৎ ভারি বৃষ্টির কবলে পড়ে ডুবে যায়। সীমান্তরক্ষীরা ১১ জনকে জীবিত ও ৩৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।যাত্রীদের বেশির ভাগই রাজধানী হ্যানয় থেকে ঘুরতে আসা পরিবার, যাদের মধ্যে ২০টিরও বেশি শিশু ছিল।

উদ্ধার হওয়া ১০ বছর বয়সী এক শিশু রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ভিয়েতনামনেটকে বলে, ‘আমি গভীর শ্বাস নিয়েছিলাম, তারপর একটি ফাঁক দিয়ে সাঁতরে বের হয়েছিলাম, ডুব দিয়েছিলাম, তারপর ওপরে উঠে সাঁতার কাটছিলাম। আমি সাহায্যের জন্য চিৎকারও করেছিলাম, তারপর আমাকে সেনাদের একটি নৌকা টেনে তোলে।’

প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা ও জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়কে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।

নিখোঁজ আটজনের সন্ধানে রাতভর উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে পরিষ্কার করা হবে এবং কোনো ধরনের অবহেলা হলে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হা লং বে এলাকার বাসিন্দা ট্রান চোং হুং এএফপিকে বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে যায়। আঙুলের আকারের শিলাবৃষ্টি হচ্ছিল, সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি, বজ্রঝড় ও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল।

উত্তরাঞ্চলীয় হ্যানয়, থাই গুয়েন ও বাক নিন প্রদেশেও শনিবার প্রবল বর্ষণ হয়েছে। হ্যানয় শহরে প্রবল বাতাসে অনেক গাছ উপড়ে গেছে। এই ঝড়ের আগে তিন দিন ধরে তীব্র গরম ছিল। কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছয়।

হা লং বে ভিয়েতনামের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য, যেখানে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ সবুজাভ নীল পানির মধ্যে ছড়িয়ে থাকা চুনাপাথরের দ্বীপপুঞ্জ দেখতে যায়।

এএফপির তথ্য মতে, গত বছর টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে প্রবল বাতাস ও ঢেউয়ে উপসাগরের কোয়াং নিং প্রদেশের লক এলাকায় ৩০টি নৌযান ডুবে গিয়েছিল। অন্যদিকে এ মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ বালির কাছে একটি ফেরি ডুবে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে নিহত ৩৪, নিখোঁজ ৮

আপডেট সময়ঃ ১০:২৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

ভিয়েতনামের বিখ্যাত হা লং উপসাগরে শনিবার পর্যটকবাহী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আটজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম ভিএন এক্সপ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, ইউনেসকো স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হা লং বেতে ৪৮ জন যাত্রী, পাঁচজন ক্রু সদস্যসহ নৌকাটি হঠাৎ ভারি বৃষ্টির কবলে পড়ে ডুবে যায়। সীমান্তরক্ষীরা ১১ জনকে জীবিত ও ৩৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।যাত্রীদের বেশির ভাগই রাজধানী হ্যানয় থেকে ঘুরতে আসা পরিবার, যাদের মধ্যে ২০টিরও বেশি শিশু ছিল।

উদ্ধার হওয়া ১০ বছর বয়সী এক শিশু রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ভিয়েতনামনেটকে বলে, ‘আমি গভীর শ্বাস নিয়েছিলাম, তারপর একটি ফাঁক দিয়ে সাঁতরে বের হয়েছিলাম, ডুব দিয়েছিলাম, তারপর ওপরে উঠে সাঁতার কাটছিলাম। আমি সাহায্যের জন্য চিৎকারও করেছিলাম, তারপর আমাকে সেনাদের একটি নৌকা টেনে তোলে।’

প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা ও জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়কে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।

নিখোঁজ আটজনের সন্ধানে রাতভর উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে পরিষ্কার করা হবে এবং কোনো ধরনের অবহেলা হলে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হা লং বে এলাকার বাসিন্দা ট্রান চোং হুং এএফপিকে বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে যায়। আঙুলের আকারের শিলাবৃষ্টি হচ্ছিল, সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি, বজ্রঝড় ও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল।

উত্তরাঞ্চলীয় হ্যানয়, থাই গুয়েন ও বাক নিন প্রদেশেও শনিবার প্রবল বর্ষণ হয়েছে। হ্যানয় শহরে প্রবল বাতাসে অনেক গাছ উপড়ে গেছে। এই ঝড়ের আগে তিন দিন ধরে তীব্র গরম ছিল। কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছয়।

হা লং বে ভিয়েতনামের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য, যেখানে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ সবুজাভ নীল পানির মধ্যে ছড়িয়ে থাকা চুনাপাথরের দ্বীপপুঞ্জ দেখতে যায়।

এএফপির তথ্য মতে, গত বছর টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে প্রবল বাতাস ও ঢেউয়ে উপসাগরের কোয়াং নিং প্রদেশের লক এলাকায় ৩০টি নৌযান ডুবে গিয়েছিল। অন্যদিকে এ মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ বালির কাছে একটি ফেরি ডুবে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন