১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

আগামীকাল থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জে বাড়বে লোডশেডিং

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ১২:১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে।

সিলেটে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলছে তাপদাহ। এই পরিস্থিতির মধ্য বিকল হয়ে গেছে সিলেটের কুমারগাঁওয়ের ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশন। এতে আগামীকাল রবিবার থেকে বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে পড়তে যাচ্ছেন সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার মানুষ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশন প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অচল হয়ে আছে। এতে করে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিকল্প হিসেবে সিলেটে এখন শুধু গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। তার ওপর আগে থেকেই চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল।

সব মিলিয়ে তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎবিভ্রাটের কবলে পড়তে হবে সিলেটবাসীকে। পাশাপাশি কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের আওতায় থাকা সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ থাকছে। ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার ফের সচল না হওয়া পর্যন্ত এই ভোগান্তি থাকবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ‘শুক্র ও শনিবার সিলেটে লোডশেডিং ছিল না। এই দুই দিন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্কুল, কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কম ছিল। যে কারণে ঘাটতে সেভাবে দৃশ্যমান হয়নি। তবে রবিবার থেকে যেহেতু অফিস আদালত খুলছে তাই লোডশেডিংয়ের বিড়ম্বনা বাড়বে।

এ বিষয়ে বিউবো সিলেট বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, ‘পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় আমাদের কিছু এলাকায় লোডশেডিং করতে হয়। তার ওপর আবার ঢাকা থেকে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ।

পুরো সিস্টেমে ফিকুয়েন্সি ডাউন হয়ে গেলে ঢাকা থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়।’ সম্প্রতি সময়ে প্রায় প্রতিদিনই এভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষজন বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। অনেক গ্রাহক কল দিয়ে গালাগালও করেন। কিন্তু এই লোডশেডিংয়ের বিষয়টি আমাদের কোনো হাত নেই।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, ‘২২৫ মেগাওয়াট তো বড় পাওয়ার স্টেশন। এটি বিকল হওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। এতে লোডশেডিং যেমন হচ্ছে, তেমনি অনেক এলাকায় লো ভোল্টেজ থাকছে।’

তিনি বলেন, ‘শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় বোঝা যায়নি তবে রবিবার থেকে প্রভাব পড়বে। কারণ বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে। ফলে লোডশেডিং হবে।’ কবে নাগাদ এটি ঠিক হতে পারে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যতটুকু জানি ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশন কর্তৃপক্ষ দুই সপ্তাহের সময় নিয়েছেন, এটি সচল করার জন্য।’

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আগামীকাল থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জে বাড়বে লোডশেডিং

আপডেট সময়ঃ ১২:১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

সিলেটে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলছে তাপদাহ। এই পরিস্থিতির মধ্য বিকল হয়ে গেছে সিলেটের কুমারগাঁওয়ের ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশন। এতে আগামীকাল রবিবার থেকে বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে পড়তে যাচ্ছেন সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার মানুষ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশন প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অচল হয়ে আছে। এতে করে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিকল্প হিসেবে সিলেটে এখন শুধু গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। তার ওপর আগে থেকেই চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল।

সব মিলিয়ে তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎবিভ্রাটের কবলে পড়তে হবে সিলেটবাসীকে। পাশাপাশি কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের আওতায় থাকা সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ থাকছে। ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার ফের সচল না হওয়া পর্যন্ত এই ভোগান্তি থাকবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ‘শুক্র ও শনিবার সিলেটে লোডশেডিং ছিল না। এই দুই দিন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্কুল, কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কম ছিল। যে কারণে ঘাটতে সেভাবে দৃশ্যমান হয়নি। তবে রবিবার থেকে যেহেতু অফিস আদালত খুলছে তাই লোডশেডিংয়ের বিড়ম্বনা বাড়বে।

এ বিষয়ে বিউবো সিলেট বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, ‘পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় আমাদের কিছু এলাকায় লোডশেডিং করতে হয়। তার ওপর আবার ঢাকা থেকে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ।

পুরো সিস্টেমে ফিকুয়েন্সি ডাউন হয়ে গেলে ঢাকা থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়।’ সম্প্রতি সময়ে প্রায় প্রতিদিনই এভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষজন বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। অনেক গ্রাহক কল দিয়ে গালাগালও করেন। কিন্তু এই লোডশেডিংয়ের বিষয়টি আমাদের কোনো হাত নেই।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, ‘২২৫ মেগাওয়াট তো বড় পাওয়ার স্টেশন। এটি বিকল হওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। এতে লোডশেডিং যেমন হচ্ছে, তেমনি অনেক এলাকায় লো ভোল্টেজ থাকছে।’

তিনি বলেন, ‘শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় বোঝা যায়নি তবে রবিবার থেকে প্রভাব পড়বে। কারণ বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে। ফলে লোডশেডিং হবে।’ কবে নাগাদ এটি ঠিক হতে পারে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যতটুকু জানি ২২৫ মেগাওয়াট পাওয়ার স্টেশন কর্তৃপক্ষ দুই সপ্তাহের সময় নিয়েছেন, এটি সচল করার জন্য।’

নিউজটি শেয়ার করুন