১১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি: শিক্ষা উপদেষ্টা

সিলেট ব্যুরো
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:১১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • / ৮৮ বার পড়া হয়েছে।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবীণ শিক্ষার্থীদের “ওরিয়েন্টেশন- ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ জুলাই (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অ.দা) প্রফেসর ড. মোঃ আসাদ-উদ-দৌলা প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী বলেন, বিগত ২০২৪ এর জুলাইয়ে দেশ মাতৃকার গনতন্ত্র, মুক্ত সমাজ সৃষ্টিতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, রাইফেলের গুলিতে বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়েছে তার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আরো বলেন, দেশের বয়স ৫৪ বছর হলেও আক্ষরিক অর্থে দেশ এগিয়ে যায়নি। দেশকে এগিয়ে নিতে আজকের শিক্ষার্থীদের জুলাই ২৪ এর ন্যায় ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রধান পৃষ্টপোষকের বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বলেন, সিকৃবি শিক্ষা, গবেষণা ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে অগ্রগতি সাধন করছে। সিকৃবিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, তোমরাও এই যাত্রায় আমাদের সহযাত্রী হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সীমিত সম্পদেও সীমাহীন সম্ভাবনা সৃষ্টি করা যায়, যদি থাকে দৃঢ় মনোবল ও নিষ্ঠা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি। বিগত ১৭ বছর আমরা আমাদের নাগরিকত্ব সপে দিয়েছিলাম একটি ফ্যাসিবাদি সরকারের কাছে। যারা পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে দাসত্বের চুক্তি করেছিল। আমরা কখনো ভাবিনি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে। গুম, খুন, আয়নাঘর, বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে চলছিল এই বাংলাদেশ। এর থেকে পরিত্রাণ তোমরাই দিয়েছো। ছাত্র-জনতার এই অর্জনকে ম্লান হতে দেয়া যাবে না। তিনি বলেন বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিম যে দাসত্বের সংস্কৃতি চালু করেছিল আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের মাঝে বিভাজন তৈরী না করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দলীয় লেজুর ভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নতুন বাংলাদেশে তোমরা নিজেদেরকে আপন স্বকীয়তায় উপস্থাপন করবে, রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা তোমরা নির্ধারন করবে। তোমাদের ধৈর্যশীল ও রুচিশীলতার পাশাপাশি উন্নত মনের বিবেকবান ও সুন্দর মনের মানুষের পরিচয় দিতে হবে। এসময় তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। অংশীদারদের সাথে বসে তাদের চাহিদা অনুযায়ী নীতি নির্ধারন করতে হবে, পেশীশক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে, সহনশীলতা সহমর্মিতার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সহশিক্ষার কার্যক্রমে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পরাদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করে নিজেদের মেলে ধরবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল নলেজ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব আঙ্গিকে লাইব্রেরিকে উপযুক্ত করতে হবে যা গবেষণার কাজকে আরো ত্বরান্বিত করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন