০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস বহাল রাখার দাবীতে ২৩ উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি

সিলেট ব্যুরো
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৬৪ বার পড়া হয়েছে।

সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ২৭ আগষ্ট ২০২৫ বুধবার দুপুর ১২.৩০ ঘটিকায় ১ নভেম্বর থেকে জাতীয় যুব দিবস বহাল রাখার দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা সহ ২৩ উপদেষ্টা বরাবরে সিলেট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট্য সমাজকর্মী ও সাবেক ব্যাংকার রাধিকা রঞ্জন পাল ছাবুল, জুলাই ২০২৪-এর অভিভাবক যোদ্ধা মোঃ আব্দুস শহীদ খান, সিকস’র কার্যকরী কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ তালেব হোসেন তালেব, সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহীন আহমেদ, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক শাওন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আল-আমিন আহমদ, সহ-শিক্ষা ও সমাজসেবা সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলী, যোগাযোগ ও সমন্বয় সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি জাকারিয়া মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাকের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান, শিক্ষা ও সমাজসেবা সম্পাদক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, যোগাযোগ ও সমন্বয় সম্পাদক মোঃ পিকুল হোসেন, সদস্য মোঃ জুয়েল মিয়া, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, যুব নেতৃবৃন্দদের মধ্য থেকে মুহাম্মদ কামাল মিয়া, মোঃ মাহিন মিয়া, তানভীর আহমদ, জিহাদ হোসেন, আল-ইমরান ও মোঃ সারজাউল করীম।

স্মারকলিপির উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রায় ৬ কোটি যুব সমাজের জন্য ধার্যকৃত জাতীয় যুব দিবসের তারিখ পরিবর্তন করায় আমরা যুবরা মর্মাহত। পূর্বকার সময়ে জাতীয় যুব দিবস বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রধানের দেওয়া বিভিন্ন তারিখে পালন করা হতো। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে ২০১২ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০১২ খ্রীষ্টাব্দ হতে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত ১৩ বছর ধরে ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয়। হঠাৎ করে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দের ১২ আগষ্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবসে “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস” পালন আমরা যুবরা হতবাক। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ পরিচিত রাষ্ট্র। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপন করার মাধ্যমে প্রমাণ হয়। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে একটি বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক শব্দের সাথে বাংলাদেশ এমনিতেই সংযুক্ত। এরমধ্যে জাতীয় শব্দ সম্পৃক্ত করার কারণ কি? পৃথিবীর মধ্যে কোন দেশে নিজের যেকোনো জাতীয় দিবস, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে একসাথে পালন করা হয়? আমরা যুবরা স্বতন্ত্র জাতীয় যুব দিবস চাই। এক-তৃতীয়াংশ যুবদের জাতীয় যুব দিবস ফেরত চাই। আমাদের বাংলাদেশের মাতৃভাষা দিবস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় পর ২১ ফেব্রুয়ারীতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করা হয়না, শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করা হয়। জাতীয় যুব দিবসকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস হিসাবে পালন করায় জাতীয় যুব দিবস-এর স্বার্থকতা হারিয়ে গেছে। তাই আমরা আশাকরি ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস-এর তারিখ আবার আমরা যুবদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ যুবদের জাতীয় যুব দিবস ফিরিয়ে দিতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন