নীলফামারির ইপিজেডে যৌথবাহিনীর গুলিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

- আপডেট সময়ঃ ০৭:২৪:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৭২ বার পড়া হয়েছে।

নীলফামারির ইপিজেডে যৌথবাহিনীর গুলিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় সিলেট শহীদ মিনারে সম্মুখে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট ও (বাসদ মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাস। সিপিবির সদস্য মাশরুখ জলিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাসদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক আবু জাফর, সিপিবি সিলেট জেলা কমিটির সদস্য এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জেলা সম্পাদক সিরাজ আহমেদ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, বাসদ জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল, বাসদ জেলা সাবেক আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়,বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডাঃ হরিধন দাশ, বাসদ (মার্ক্সবাদী,) জেলা সদস্য অজিত রায়,চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা,উদীচী সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু, প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রিন লিমিটেডের শ্রমিকরা গত চারদিন ধরে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহাল, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, উৎপাদন টার্গেট কমানো, ওভারটাইম পরিশোধসহ ২০ দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও কর্মবিরতি পালন করছিলেন। তাদের সাথে ইপিজেডের অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও যোগ দেন। গতকাল রাতে হঠাৎ করে মালিকপক্ষ মজুরি পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করলে, আজ শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সে বিক্ষোভে পুলিশ, সেনাবাহিনী গুলি চালিয়ে হাবিব নামে এক শ্রমিককে হত্যা করে এবং আরো অনেক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়। এভাবে নির্বিচার গুলি চালিয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দমন করার পদ্ধতি আমাদের বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়কালকেই মনে করিয়ে দেয়। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি জীবন দিয়েছে এ শ্রমিকরাই। অথচ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মালিকদের স্বার্থে সে শ্রমিকদের বুকেই গুলি চালাচ্ছে, যা গণঅভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী।। আমরা শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রমিকহত্যা ও দমনপীড়নের বিরূদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানাই।”
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শ্রমিক হত্যার সাথে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করে বিচার ও শাস্তির দাবি জানান এবং নিহত শ্রমিকের পরিবারকে একজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় দমন পীড়ন বন্ধেরও জোর দাবি জানান।