মাধবপুরে নিশানের টাকা ফেরত পেতে মানববন্ধন

- আপডেট সময়ঃ ০৭:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৪ বার পড়া হয়েছে।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত নিশান সোসাইটির গ্রাহকরা বকেয়া টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল ও ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় তেলিয়াপাড়া নিশান সোসাইটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে দুপুর ১টার দিকে জগদীশপুর তেমুনিয়া মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে গ্রাহকরা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে। ঘন্টাব্যাপি সড়ক অবরোধের কারনে মহাসড়ক শতশত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে মাধবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তেলিয়াপাড়া নিশান সোসাইটি প্রতি লাখে মাসে ২/৩ হাজার টাকা লাভ দেখিয়ে হবিগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় সমিতির শাখা খুলে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। বছর খানেক আগে গ্রাহকরা টাকা ফেরত চাইতে গেলে নিশানের কর্মকর্তারা গড়িমসি শুরু করেন। এক পর্যায়ে গ্রাহকরা চাপ সৃষ্টি করলে নিশানের পরিচালক সায়েম ও সালমান গোপনে পালিয়ে যায়। পরে গ্রাহকরা নিশানের চেয়ারম্যান বেলাল ও তার স্ত্রী আমেনাকে তেলিয়াপাড়া নিশান কার্যালয়ে নজরবন্দি করে রাখলে তারাও মাস খানেক আগে গোপনে পালিয়ে যায়। নিশানের এমডি জালাল উদ্দিন একাধিকবার সভা করে সবাইকে আশ্বাস দিয়েছিল টাকা ফেরত দেবে। অবশেষে তিনি আত্বগোপনে চলে গেছেন।
গোয়াছনগর গ্রামের নুরুল ইসলাম নামে একজন গ্রাহক জানান,কোম্পানিতে জমি বিক্রি করে লাভের আশায় নিশানে টাকা জমা করেছিলাম কিন্তু টাকা মেরে তারা সবাই পালিয়ে গেছে।
সুরমা গ্রামের মানিক মিয়া জানান, তার পিতা আরজু মিয়া নিশানে টাকা জমা রেখে ফেরত চাইতে গিয়ে তাকে টাকা ফেরত দেয়নি। সেই কষ্টে তার পিতা হঠাৎ মারাই গেছেন।
রোমানা বেগম নামে সুরমা বাগানের চা শ্রমিক জানান, কষ্টার্জিত অর্থ জমা তিনি রেখেছিলেন।কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হলেও কর্তৃপক্ষ সেই টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিচ্ছে না। ফলে গ্রাহকরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এখন নিশান আত্বগোপনে চলে যাওয়ায় কিছু লোক তাদের সম্পত্তি গোপনে দখলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নিরীহ গ্রাহকরা পড়েছে বিপদে। তাই সরকারের প্রতি আমাদের দাবি তাদের সম্পত্তি সরকারের আওতায় নিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা যেন ফেরত দেন।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। টাকা ফেরত গ্রাহকদের সঠিক আইনি প্রক্রিয়ায় এগুতে হবে। মহাসড়কে বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করলে এ সমস্যার সমাধান সহজ হবেনা।