১২:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী নি খোঁ জে র ১৩ বছর আজ।

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময়ঃ ০১:৪১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে।

সময় পেরিয়ে গেছে ১৩টি বছর। কিন্তু থেমে যায়নি অপেক্ষা। হারিয়ে যাওয়া সেই সাহসী কণ্ঠ আজও প্রতিধ্বনিত হয় লাখো হৃদয়ে। তিনি নিখোঁজ—তবুও আছেন, তিনি ইলিয়াস আলী।২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বনানী থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট-২ (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম. ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলী। আজ সেই ঘটনা পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ ১৩ বছর। কিন্তু এখনো রহস্য অমীমাংসিত। এখনও নেই কোনো প্রমাণ, নেই কোনো নিশ্চয়তা—শুধু অপেক্ষা, আশা আর অগণিত কান্নার ইতিহাস।

ইলিয়াস আলীর মা সূর্যবান বিবি জানেন না, তিনি আদৌ আর কখনও শুনবেন সেই স্নেহভরা “মা” ডাক। সন্তানের ফিরে আসার আশায় এখনও চেয়ে থাকেন পথের দিকে। আর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনা এখনো বিশ্বাস করেন—একদিন তার স্বামী ফিরে আসবেন।গত ১৩ বছরে ইলিয়াস আলীকে নিয়ে বহু গুঞ্জন, অনেক বক্তব্য ও ভিডিও সামনে এলেও, পরিবার ও নেতাকর্মীরা সবসময়ই থেকেছেন অবিচল। তাদের বিশ্বাস—ইলিয়াস আলী এখনও বেঁচে আছেন এবং কোনো একদিন ফিরে আসবেন, ফিরিয়ে আনবে এই দেশের বিবেক।লুনা আজ শুধু একজন স্ত্রীর নাম নয়, হয়ে উঠেছেন নেতা ইলিয়াসের প্রতিনিধি। সিলেট-২ আসনে আজ তার নামেই আশাবাদী নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, মিছিল, ইফতার মাহফিল—সবখানেই উচ্চারিত হয় একটি দাবি: “ইলিয়াস আলীর খোঁজ দাও, তাকে ফিরিয়ে দাও।”বিএনপির নেতারা বারবার বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই গুম করা হয়েছিল ইলিয়াস আলীকে। আর আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তারা চান সেই গুমের রহস্য উদঘাটন হোক, জড়িতদের বিচার হোক, আর ফিরিয়ে দেওয়া হোক এম. ইলিয়াস আলীকে—জীবিত অবস্থায়।এটা শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো একটি জনগোষ্ঠীর হৃদয়ের গল্প—একজন প্রিয় নেতার ফিরে আসার জন্য দীর্ঘ ১৩ বছরের অশ্রুসিক্ত অপেক্ষার গল্প।বিএনপি নেতাদের কাছে ইলিয়াস আলী শুধুই একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। সিলেটের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে আসা এই নেতা হয়ে উঠেছিলেন জাতীয় রাজনীতির সাহসী কণ্ঠ। ক্ষমতাসীনদের চোখে চোখ রেখে কথা বলা, নির্যাতনের মুখেও দৃঢ় অবস্থান—এটাই ছিল তাঁর স্বভাব। তাদের কাছে “ইলিয়াস আলী এ মিথ, এ লিজেন্ড”।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী নি খোঁ জে র ১৩ বছর আজ।

আপডেট সময়ঃ ০১:৪১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

সময় পেরিয়ে গেছে ১৩টি বছর। কিন্তু থেমে যায়নি অপেক্ষা। হারিয়ে যাওয়া সেই সাহসী কণ্ঠ আজও প্রতিধ্বনিত হয় লাখো হৃদয়ে। তিনি নিখোঁজ—তবুও আছেন, তিনি ইলিয়াস আলী।২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বনানী থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট-২ (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম. ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলী। আজ সেই ঘটনা পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ ১৩ বছর। কিন্তু এখনো রহস্য অমীমাংসিত। এখনও নেই কোনো প্রমাণ, নেই কোনো নিশ্চয়তা—শুধু অপেক্ষা, আশা আর অগণিত কান্নার ইতিহাস।

ইলিয়াস আলীর মা সূর্যবান বিবি জানেন না, তিনি আদৌ আর কখনও শুনবেন সেই স্নেহভরা “মা” ডাক। সন্তানের ফিরে আসার আশায় এখনও চেয়ে থাকেন পথের দিকে। আর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনা এখনো বিশ্বাস করেন—একদিন তার স্বামী ফিরে আসবেন।গত ১৩ বছরে ইলিয়াস আলীকে নিয়ে বহু গুঞ্জন, অনেক বক্তব্য ও ভিডিও সামনে এলেও, পরিবার ও নেতাকর্মীরা সবসময়ই থেকেছেন অবিচল। তাদের বিশ্বাস—ইলিয়াস আলী এখনও বেঁচে আছেন এবং কোনো একদিন ফিরে আসবেন, ফিরিয়ে আনবে এই দেশের বিবেক।লুনা আজ শুধু একজন স্ত্রীর নাম নয়, হয়ে উঠেছেন নেতা ইলিয়াসের প্রতিনিধি। সিলেট-২ আসনে আজ তার নামেই আশাবাদী নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, মিছিল, ইফতার মাহফিল—সবখানেই উচ্চারিত হয় একটি দাবি: “ইলিয়াস আলীর খোঁজ দাও, তাকে ফিরিয়ে দাও।”বিএনপির নেতারা বারবার বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই গুম করা হয়েছিল ইলিয়াস আলীকে। আর আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তারা চান সেই গুমের রহস্য উদঘাটন হোক, জড়িতদের বিচার হোক, আর ফিরিয়ে দেওয়া হোক এম. ইলিয়াস আলীকে—জীবিত অবস্থায়।এটা শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো একটি জনগোষ্ঠীর হৃদয়ের গল্প—একজন প্রিয় নেতার ফিরে আসার জন্য দীর্ঘ ১৩ বছরের অশ্রুসিক্ত অপেক্ষার গল্প।বিএনপি নেতাদের কাছে ইলিয়াস আলী শুধুই একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। সিলেটের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে আসা এই নেতা হয়ে উঠেছিলেন জাতীয় রাজনীতির সাহসী কণ্ঠ। ক্ষমতাসীনদের চোখে চোখ রেখে কথা বলা, নির্যাতনের মুখেও দৃঢ় অবস্থান—এটাই ছিল তাঁর স্বভাব। তাদের কাছে “ইলিয়াস আলী এ মিথ, এ লিজেন্ড”।

নিউজটি শেয়ার করুন