সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক।

- আপডেট সময়ঃ ১২:১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
- / ৭০ বার পড়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক বলেছেন, এম সাইফুর রহমান স্যারের কাছে ডায়নামিক লিডারশীপ ছিল। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে তিনি অত্যন্ত সফল ছিলেন। তিনি বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আইএমএফের বোর্ড অব গভর্নরের চেয়ারম্যান হিসেবে। আজ পর্যন্ত তাঁর বিকল্প আমার মনে হয় না এশিয়া সাবকন্টিনেন্টের মধ্যে কেউ আছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে; সেটি বিএনপি সরকারের সময়ই তিনি সেই ভিত মজবুত করে রচনা করে গিয়েছিলেন। তার হাতে নেওয়া অনেক সাহসী পদক্ষেপ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে। দেশ আজকে সেটির সুফল পাচ্ছে এবং বিদেশি রিজার্ভ ফান্ডে যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ছিল সেটি তাঁর হাতেই গড়া ছিল। তিনি শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দন গ্রামে বাংলাদেশের সাবেক সফল অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এর কবর জিয়ারত শেষে তাঁকে নিয়ে তিনি এমন স্মৃতিচারণ করেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্য যাওয়ার আগে প্রয়াত মন্ত্রীর কবর জিয়ারত করতে আসলে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান মরহুম অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান। খবর পেয়ে সেখানে বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এম এ মালেক আরও বলেন, মূলত সাইফুর রহমান স্যার এবং উনার ওয়াইফের অনেক কন্ট্রিবিউশন আমাদের যুক্তরাজ্য বিএনপিতে আছে এবং পারসনেলি আমার ব্যক্তিগত জীবনেও সাইফুর রহমান স্যার ও উনার স্ত্রী অনেক আদর স্নেহ করতেন। আমি ও মাহিদুর রহমান লন্ডন থেকে আসলে আমাদেরকে সাথে সাথে বাসার ওপরে নিয়ে খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে এ-টু জেড স্পেশালি লুক আফটার করতেন। সেখানে অনেক রাজনৈতিক নেতারাও থাকতো। আজকে সেই কারণে আমি মাহিদুর রহমান লং টাইম লন্ডন বিএনপির প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি ছিলাম। তা-ই এখানে এসেছি। পবিত্র হজে যাবো। তাই সকালে আমার মায়ের কবর জিয়ারত শেষে এম সাইফুর রহমান স্যার ও তাঁর সহধর্মিণীর কবর জিয়ারত করতে এসেছি। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেন, গণঅভুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃত্ব দেয়া যে একজন বিএনপি নেতার নাম শুধুই মুখ নিতো তাঁর নাম হল এম এ মালেক। ওই সময়ে আমরা দেখেছি, সেখানকার আওয়ামীলীগ নেতাদের খুনি গণহত্যাকারী হাসিনা বলতো মালেককে বল সাবধান হতে। নইলে মালেককে কন্ট্রোল কারো। তখন তারা (আওয়ামীলীগের নেতারা) ভিতরে ভিতরে বলত এটা তো যুক্তরাজ্য। এখানে কন্ট্রোল করার কোন উপায় নেই। নাসের বলেন, যুক্তরাজ্য এমন এক দেশ যেখানে যেকোন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম অ্যালাউ করে। এটাকে এম এ মালেক সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে ভালো ভাবে কাজে লাগিয়েছেন। যার কারণ প্রবাসে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সফল হয়েছে। এবং আরও বেটার হয়েছে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্যে ছিলেন। সেকারণে যুক্তরাজ্য বিএনপি কি পরিমাণ শক্তি সামর্থ্য অবস্থায় ছিল এবং নেতাকর্মীগণ উজ্জীবিত ছিলেন। এই সুবাদে এম এ মালেক প্রবাসের মাটিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন। সে কারণে লন্ডনে বার বার স্বৈরাচারী হাসিনা সফরে গিয়ে লন্ডন প্রবাসী বিএনপির নেতৃবৃন্দের তীব্র আন্দোলনের মুখে পড়তে হয়েছে। ক্ষোভে হাসিনার নির্দেশে দেশে এম মালেকের বাসা বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এভাবে প্রবাসী অনেক বিএনপি নেতাদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।তিনি বলেন, দেশ বিদেশে সব জায়গায়ই হাসিনা পতনের আন্দোলন হয়েছে। প্রবাসীরাও সবরকমের সহযোগিতা দিয়ে দেশের আন্দোলনে সাহস জুগিয়েছেন। প্রবাসে এম এ মালেকের মতো পরীক্ষিত নেতাদের নেতৃত্বে স্বৈরাচার সরানোর আন্দোলন সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা ও অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ ও দেশবাসীর পক্ষ কৃতজ্ঞতা জানান এবং তাঁর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য স্বাগতম জানান।নাসের রহমান বলেন, এম এ মালেককে আমার আব্বা মরহুম এম সাইফুর রহমান ও আমার আম্মা খুব পছন্দ করতেন। আমার আম্মা লন্ডনে গেলে এম এ মালেক তাঁর সঙ্গে থাকতেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার সময়েও তিনি সঙ্গে ছিলেন। তিনি আমাদের পরিবারের একজন সুহৃদ ও খুবই ঘনিষ্ঠজন।এ সময় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ আব্দুল মুকিত।