১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

নিখোঁজের ৭  দিন পর মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময়ঃ ০১:২৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫৯ বার পড়া হয়েছে।

 

লিটনকে ৫ জন মিলে হত্যার পর বালি চাপা দিয়ে রাখে লাশ – গ্রেপ্তার ১

হবিগঞ্জের মাধবপুর  উপজেলা থেকে নিখোঁজের  ৭ দিন পর চুনারুঘাটের কাপাইছড়া চাবাগানের গহীন জঙ্গল থেকে মাটি খুঁড়ে  লিটন মিয়া(৩৮)  নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া  ইউনিয়নের কাপাইছড়া চাবাগানের ৯নং টিলার ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লিটন মিয়া মাধবপুর উপজেলার গোয়াছনগর এলাকার ছায়েদ আলীর ছেলে।  থানার পুলিশ ও নিহত লিটনের  পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল সাতছড়ি লাকুড়ি সংগ্রহের কথা বলে বাড়ি থেকে বেড় হন। এরপর থেকে সম্ভব স্থানে পরিবারের লোকজন খুঁজাখুঁজি করেন। দীর্ঘ ৭দিন  বাড়িতে ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন বুধবার  চুনারুঘাট থানাকে অবগত করেন। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ  ঘটনার ক্লু উদঘাটনে মাঠে নামেন।  পরবর্তী সময়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই  তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায়  কাপাইছড়া চা-বাগানে অভিযান চালিয়ে প্রমোদ রিকমন(৩২) নামে এক ঘাতককে গ্রেপ্তার করেন। প্রমোদ কাপাইছড়া চাবাগানের মঙ্গল রিকমনের পুত্র।

পরে রাগেই  প্রমোদকে সঙ্গে নিয়ে তার  দেওয়া তথ্যমতে পাহাড়ি এলাকার কাপাইছড়া চাবাগানের  ৯নং টিলার

ভেতরে মাটিচাপা দিয়ে রাখা  মাটি খুঁড়ে লিটন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘাতক প্রমোদ রিকমন  পুলিশকে বলেন, তার ১০ টি গুরু চুরি হয়েছে,   ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় কাপাইছড়া বাগানে লিটনকে গরু চুরি সন্দেহে ৫জন মিলে আটক করে মারপিট করে। একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি  আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান।  পরে  লিটনের  মৃত্যু হয়। এরপর প্রমোদ রিকমন সহ ৫ জন মিলে নিহত লিটনের লাশ ঘুম করে  মাটিতে পুঁতে রেখে  চলে যান। মাধবপুর সার্কেলের এএসপি মো: সালিমুল হক বলেন, জেলার মাধবপুর উপজেলার গোয়াছনগর  এলাকার লিটন মিয়া(৩৮) নামে এক এক ব্যক্তিকে মারপিট করে মরদেহ  পুঁতে রাখার ঘটনায় চুনারুঘাটের ওসি নুর আলমের নেতৃত্বে একজনকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলমের নেতৃত্বে একদল থানা-পুলিশ  ঘটনাস্থলে যান। সেখানে কাপাইছড়া চা-বাগানের বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রমোদ রিকমন(৩২) নামে ঘাতককে গ্রেপ্তার করেন

এবং  আসামীকে সঙ্গে নিয়ে  চাবাগানের  ৯নং টিলায় মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  এ তথ্য নিশ্চিত করে থানার ওসি নুর আলম বলেন, ঘটনা জানার ১২ ঘন্টার মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তারের পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ সদর ধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে এ ঘটনার সঙ্গে আরও যারা  জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।  সেই সঙ্গে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগ রয়েছে ওই চক্রটি একাধিক ব্যক্তিকে এভাবে হত্যার পর লাগগুম করে রাখে পাহাড়ি এলাকায়, কেউ ফিরে আসতে পারেনে তাদের কবল থেকে।  এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর পুলিশের তদন্তে   বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নিখোঁজের ৭  দিন পর মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ

আপডেট সময়ঃ ০১:২৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

 

লিটনকে ৫ জন মিলে হত্যার পর বালি চাপা দিয়ে রাখে লাশ – গ্রেপ্তার ১

হবিগঞ্জের মাধবপুর  উপজেলা থেকে নিখোঁজের  ৭ দিন পর চুনারুঘাটের কাপাইছড়া চাবাগানের গহীন জঙ্গল থেকে মাটি খুঁড়ে  লিটন মিয়া(৩৮)  নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া  ইউনিয়নের কাপাইছড়া চাবাগানের ৯নং টিলার ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লিটন মিয়া মাধবপুর উপজেলার গোয়াছনগর এলাকার ছায়েদ আলীর ছেলে।  থানার পুলিশ ও নিহত লিটনের  পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল সাতছড়ি লাকুড়ি সংগ্রহের কথা বলে বাড়ি থেকে বেড় হন। এরপর থেকে সম্ভব স্থানে পরিবারের লোকজন খুঁজাখুঁজি করেন। দীর্ঘ ৭দিন  বাড়িতে ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন বুধবার  চুনারুঘাট থানাকে অবগত করেন। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ  ঘটনার ক্লু উদঘাটনে মাঠে নামেন।  পরবর্তী সময়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই  তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায়  কাপাইছড়া চা-বাগানে অভিযান চালিয়ে প্রমোদ রিকমন(৩২) নামে এক ঘাতককে গ্রেপ্তার করেন। প্রমোদ কাপাইছড়া চাবাগানের মঙ্গল রিকমনের পুত্র।

পরে রাগেই  প্রমোদকে সঙ্গে নিয়ে তার  দেওয়া তথ্যমতে পাহাড়ি এলাকার কাপাইছড়া চাবাগানের  ৯নং টিলার

ভেতরে মাটিচাপা দিয়ে রাখা  মাটি খুঁড়ে লিটন মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘাতক প্রমোদ রিকমন  পুলিশকে বলেন, তার ১০ টি গুরু চুরি হয়েছে,   ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় কাপাইছড়া বাগানে লিটনকে গরু চুরি সন্দেহে ৫জন মিলে আটক করে মারপিট করে। একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি  আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান।  পরে  লিটনের  মৃত্যু হয়। এরপর প্রমোদ রিকমন সহ ৫ জন মিলে নিহত লিটনের লাশ ঘুম করে  মাটিতে পুঁতে রেখে  চলে যান। মাধবপুর সার্কেলের এএসপি মো: সালিমুল হক বলেন, জেলার মাধবপুর উপজেলার গোয়াছনগর  এলাকার লিটন মিয়া(৩৮) নামে এক এক ব্যক্তিকে মারপিট করে মরদেহ  পুঁতে রাখার ঘটনায় চুনারুঘাটের ওসি নুর আলমের নেতৃত্বে একজনকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলমের নেতৃত্বে একদল থানা-পুলিশ  ঘটনাস্থলে যান। সেখানে কাপাইছড়া চা-বাগানের বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রমোদ রিকমন(৩২) নামে ঘাতককে গ্রেপ্তার করেন

এবং  আসামীকে সঙ্গে নিয়ে  চাবাগানের  ৯নং টিলায় মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  এ তথ্য নিশ্চিত করে থানার ওসি নুর আলম বলেন, ঘটনা জানার ১২ ঘন্টার মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তারের পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ সদর ধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে এ ঘটনার সঙ্গে আরও যারা  জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।  সেই সঙ্গে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগ রয়েছে ওই চক্রটি একাধিক ব্যক্তিকে এভাবে হত্যার পর লাগগুম করে রাখে পাহাড়ি এলাকায়, কেউ ফিরে আসতে পারেনে তাদের কবল থেকে।  এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর পুলিশের তদন্তে   বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন