১০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

বিয়ানীবাজারের সোহেলসহ ভাঙচুর ও লু টে র ঘটনায় আ ট ক ১৭ জন

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে।

সোমবার সিলেটের বাটায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের পর জুতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্রির বিজ্ঞাপন নজরে আসে পুলিশের। পরে ক্রেতা সেজে জুতাসহ চোরদের পাকড়াও করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ নিয়ে গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশের জালে আটক হলো ১৭ জন।

এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, হামলা ও লুটপাটে জড়িতদের মধ্যে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে নজরদারিও চলছে।

পুলিশ জানায়, সোমবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের পর অনলাইনে জুতা বিক্রির একটি বিজ্ঞাপন পুলিশের নজরে আসে। পরে পুলিশ ক্রেতা সেজে ওই পোস্টদাতাকে গ্রেপ্তার করে লুট হওয়া কিছু জুতা উদ্ধার করে। এ ছাড়াও লুটপাটের ভিডিও ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করা হয়।

আটরা হলেন, সিলেট নগরীর কাজীটুলা এলাকার মো. রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন (১৯), একই এলাকার আরব আলীর ছেলে ইমন (১৯), দ্বীন ইসলামের ছেলে মো. রাকিব (১৯), সাদ আহমদের ছেলে মিজান আহমদ (৩০), সওদাগরটুলা এলাকার মৃত আবুল বাশার মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল মোতালেব (৩৫), গোয়াইটুলা এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে সাব্বির আহমদ (১৯), কোম্পানীগঞ্জের ফরিদ মিয়ার ছেলে জুনাইদ আহমদ (১৯), মিরের ময়দান এলাকার মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে মো. রবিন মিয়া (২০), শাহী ঈদগাহ এলাকার মো. মহছন আহমদের ছেলে মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), দরগাহ গেইট এলাকার আব্দুল ছাত্তারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), শেখঘাট এলাকার শামীম আহমদের ছেলে মো. রিয়াদ (২৪), বালুচর নতুন বাজার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মো. তুহিন (২৪), বটেশ্বর বাজারের সেলিম রেজার ছেলে আল নাফিউ (১৯) এবং নোয়াখালীর চাদমিল থানার পশ্চিম নাহার কিল গ্রামের সৈয়দ আলতাফ মানিকের ছেলে সৈয়দ আল আমিন তুষার (২৯), বিয়ানীবাজার উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. সোহেল খান (৪২), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সিদ্দরপাশা গ্রামের শাহ নূর মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া রুপন (৩৫), বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মৃত নন্দন মালাকারের ছেলে অরুন মালাকার (৩৫)।

এদিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া লুটপাটের ভিডিও পর্যালোচনা করে জড়িতদের আটক অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ানীবাজারের সোহেলসহ ভাঙচুর ও লু টে র ঘটনায় আ ট ক ১৭ জন

আপডেট সময়ঃ ০৬:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

সোমবার সিলেটের বাটায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের পর জুতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্রির বিজ্ঞাপন নজরে আসে পুলিশের। পরে ক্রেতা সেজে জুতাসহ চোরদের পাকড়াও করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ নিয়ে গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশের জালে আটক হলো ১৭ জন।

এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, হামলা ও লুটপাটে জড়িতদের মধ্যে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে নজরদারিও চলছে।

পুলিশ জানায়, সোমবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের পর অনলাইনে জুতা বিক্রির একটি বিজ্ঞাপন পুলিশের নজরে আসে। পরে পুলিশ ক্রেতা সেজে ওই পোস্টদাতাকে গ্রেপ্তার করে লুট হওয়া কিছু জুতা উদ্ধার করে। এ ছাড়াও লুটপাটের ভিডিও ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করা হয়।

আটরা হলেন, সিলেট নগরীর কাজীটুলা এলাকার মো. রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন (১৯), একই এলাকার আরব আলীর ছেলে ইমন (১৯), দ্বীন ইসলামের ছেলে মো. রাকিব (১৯), সাদ আহমদের ছেলে মিজান আহমদ (৩০), সওদাগরটুলা এলাকার মৃত আবুল বাশার মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল মোতালেব (৩৫), গোয়াইটুলা এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে সাব্বির আহমদ (১৯), কোম্পানীগঞ্জের ফরিদ মিয়ার ছেলে জুনাইদ আহমদ (১৯), মিরের ময়দান এলাকার মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে মো. রবিন মিয়া (২০), শাহী ঈদগাহ এলাকার মো. মহছন আহমদের ছেলে মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), দরগাহ গেইট এলাকার আব্দুল ছাত্তারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), শেখঘাট এলাকার শামীম আহমদের ছেলে মো. রিয়াদ (২৪), বালুচর নতুন বাজার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মো. তুহিন (২৪), বটেশ্বর বাজারের সেলিম রেজার ছেলে আল নাফিউ (১৯) এবং নোয়াখালীর চাদমিল থানার পশ্চিম নাহার কিল গ্রামের সৈয়দ আলতাফ মানিকের ছেলে সৈয়দ আল আমিন তুষার (২৯), বিয়ানীবাজার উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. সোহেল খান (৪২), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সিদ্দরপাশা গ্রামের শাহ নূর মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া রুপন (৩৫), বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মৃত নন্দন মালাকারের ছেলে অরুন মালাকার (৩৫)।

এদিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া লুটপাটের ভিডিও পর্যালোচনা করে জড়িতদের আটক অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন